অনেকের শরীরে হাজারের বেশি স্প্লিন্টার, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বেলুন ফুলিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে তিন
সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামিয়া সাইফুল তদন্ত কমিটি
করেন।এদিকে আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরে এক হাজারেরও বেশি স্প্লিন্টার ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাত্র ছয়টি পরিবারকে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আরও খবর পেতে ভিজিট করুউঃ heretipsz.xyz
অনেকের শরীরে হাজারের বেশি স্প্লিন্টার
জানা গেছে, নাঙ্গলকোট উপজেলার মাউকরা ইউনিয়নের বিরুলিয়া গ্রামে প্রতি পৌষ মাসে মেলা বসে। শনিবার মেলা হওয়ার কথা ছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেলায় বিক্রির জন্য গ্যাস দিয়ে অতিরিক্ত বেলুন ফুলিয়ে নিচ্ছিলেন বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন। শিশুসহ স্থানীয় এলাকা থেকে উৎসুক মানুষ তার কাজ দেখতে ভিড় জমায়। এ সময় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেবদাস দেব
জানান, আহতদের মধ্যে ৮-৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। বেশিরভাগ স্প্লিন্টার ইনজুরি। অনেকের হাত-পা ভেঙে গেছে। অন্তত আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মির্জা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. তৈয়্যবুল ইসলাম বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ছোট লোহার কণা আহত শরীরে প্রবেশ করেছে।
অনেকের শরীরে ১ হাজারের বেশি স্প্লিন্টার ঢুকেছে। বড় কোনো দগ্ধ না হলেও, ভর্তি হওয়া ১৬ জনের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক এবং তাদের সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অধিকাংশই শিশু। এক শিশুর অস্ত্রোপচার হয়েছে। বেলুন বিক্রেতা আনোয়ার হোসেনসহ পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
অনেকের শরীরে হাজারের বেশি স্প্লিন্টার
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন জানান, গুরুতর আহত ১৭ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি দুজনকে স্বজনরা নিজ দায়িত্বে ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেছেন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, গুরুতর আহত ছয়জনের পরিবারকে তাদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাকি আহতদেরও সহায়তা করা হবে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামিয়া সাইফুল বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি। তবে তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।