কাল শুরু হচ্ছে সংসদ অধিবেশন জাতীয় পরিষদের, ১৬তম অধিবেশন রোববার (১৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের
বিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। আব্দুল হামিদ। মহামারীর অন্যান্য অধিবেশনের মতো, জাতীয় পরিষদ আবারও স্বাস্থ্যবিধি
মেনে বৈঠক করবে। তবে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ওমিক্রনের বিস্তারের ওপর অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।রোববার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল
৪টায় সংসদের অধিবেশন শুরু হবে বলে জানা গেছে। রাষ্ট্রপতি গত ১ জানুয়ারি সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন।সংসদের প্রথম অধিবেশনের শুরুতে
শোক প্রস্তাব ও প্রেসিডিয়াম মনোনয়নের পর স্পিকার রাষ্ট্রপতিকে ভাষণ দেওয়ার আহ্বান জানাবেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে।
আরও খবর পেতে ভিজিট করুউঃ heretipsz.xyz
কাল শুরু হচ্ছে সংসদ অধিবেশন জাতীয় পরিষদের
সভা পুনরায় শুরু হলে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। সংসদ সদস্যরা অধিবেশন জুড়ে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবেন।
অধিবেশনের প্রথম দিনে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ সার্টিফিকেট পাওয়া সব এমপি অংশ নেবেন। এরপর থেকে তালিকা অনুযায়ী সেগুলো ঢোকানো হবে। সংসদের হুইপও এ বিষয়ে একটি তালিকা করেছেন।
সরকারি দলের হুইপ ইকবালুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেন, এবার সংসদ কক্ষে অতিরিক্ত কোনো কর্মী থাকবে না। ঠিক কতগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী রাখা হবে। বৈঠকে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের পরীক্ষা করা হবে।
তিনি বলেন, উদ্বোধনী অধিবেশন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে পারে।
যদিও মহামারীর সময় অধিবেশনটি সংক্ষিপ্ত ছিল
, তবে একটি রেকর্ড রয়েছে যে সেশনটি এই বছরের শুরুতে 30 কার্যদিবস স্থায়ী হয়েছিল।
এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে অধিবেশন চলাকালে বিভিন্ন শাখার কর্মচারীর সংখ্যা কমানো হয়েছে।
অধিবেশন কভার করার জন্য প্রথম দিনে গণমাধ্যমকর্মীদের সংসদ ভবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এ কারণে গত শুক্রবার তাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়।
এদিকে রাষ্ট্রপতির আগমনকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি নিয়েছে সংসদ সচিবালয়। রাষ্ট্রপতির চেম্বার, গ্যালারি ও প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর খেলোয়াড়দের নিয়ে চলছে প্রশিক্ষণ।
ঐতিহ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজা হয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশ করবেন, যা ‘প্রেসিডেন্ট প্লাজা’ নামেও পরিচিত।
বর্গ-ফুট জায়গাটি মূলত রাষ্ট্রপতির প্রবেশদ্বারের জন্য
নির্মিত হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি সংসদে প্রবেশ করেন।
এর আগে দীর্ঘ ৫ বছর পর এই প্লাজা দিয়ে কোনো রাষ্ট্রপ্রধান প্রবেশ করেননি। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর বছরের প্রথম অধিবেশনে এই প্লাজা দিয়ে সংসদে প্রবেশ করেন আবদুল হামিদ।
সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিবছর রাষ্ট্রপতিকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। তবে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে তা করা হবে না।
সংসদ ভবনে প্রবেশের পর রাষ্ট্রপতি বিশেষ লিফটে সপ্তম তলায় রাষ্ট্রপতির চেম্বারে উঠবেন। সেখান থেকে আবদুল হামিদ যাবেন অধিবেশন কক্ষে।
কাল শুরু হচ্ছে সংসদ অধিবেশন জাতীয় পরিষদের
স্পিকার তাকে আমন্ত্রণ জানালে, বিউগল আড়ম্বরপূর্ণ হবে। রাষ্ট্রপতি সংসদে প্রবেশের সময় নিয়মানুযায়ী জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হবে।
রাষ্ট্রপতি স্পিকারের পাশের চেয়ারে বসবেন। তাকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করার পর রাষ্ট্রপ্রধান ডায়াসকে ভাষণ দেবেন। রাষ্ট্রপতি সংসদে মন্ত্রিসভার নির্ধারিত ভাষণের সারসংক্ষেপ পাঠ করবেন।
সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা সূত্রে জানা গেছে, এবার বেশ কিছু আইন প্রণয়নের কথা রয়েছে। চারটি নতুন আইনের খসড়া সংসদে পেশ করা হয়েছে। এগুলো হলো: বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বিল, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (সংশোধনী) বিল, ট্রেড অর্গানাইজেশন বিল এবং পেমেন্টস অ্যান্ড সেটেলমেন্ট বিল। এছাড়া আগের সাতটি বিল সংসদীয় কমিটিতে পরীক্ষাধীন রয়েছে।