কৃষকের বোনা স্বপ্ন ভেসে গেল বৃষ্টির জলে, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে কয়েকদিনের বর্ষণে দুধকুমার, কালজানী ও সংকোশ নদীর তীরে লাগানো বোরন
ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারি বর্ষণ ও খাড়া ঢলের কারণে ভুরুঙ্গামারীর সব নদ-নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে নিচু এলাকায়
স্থানীয়
জাতের কালো
বোরন ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কৃষক যে স্বপ্ন বুনছিলেন তা বৃষ্টি আর পাহাড়ের ঢলে ভেসে গেছে।অনেক ভূমিহীন, দরিদ্র, নিঃস্ব ও অসহায়
কৃষক
নদীর দুই ধারে
কালো বোরন ধানের ক্ষেত রোপণ করেছে।রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখেন। দীর্ঘ সময় খাবার ও
পানীয় বর্জন
করার পর অনেকেই ইফতারে বেশি খান, যা ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উপবাসের সময় উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার
এড়িয়ে চলার
পরামর্শ দেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা খায় এবং পান করে তারা মাস শেষে ওজন বাড়ায়।
আরও খবর পেতে ভিজিট করুউঃheretipsz.xyz
কৃষকের বোনা স্বপ্ন ভেসে গেল বৃষ্টির জলে
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে চিনি খেলে তাৎক্ষণিকভাবে শরীরে শক্তি ফিরে আসে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আমি অলস বোধ করতে লাগলাম।
চিনিতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে যা আপনাকে মোটা করে তোলে। আপনি যখন আপনার উপবাস ভঙ্গ করেন, তখন আপনাকে মনে রাখতে হবে
যে
আপনি কী পরিমাণ চিনি খাচ্ছেন।ভাজা এবং চিনিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে ফল এবং শাকসবজির মতো উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবারগুলিতে মনোনিবেশ
করুন। কার্বোহাইড্রেটও খেতে পারেন। এই খাবারগুলো দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবারে ক্যালোরি কম থাকে এবং ওজন
নিয়ন্ত্রণে রাখে।রোজা ভেঙে সব খাবার একসঙ্গে খাবেন না। সময়ের সাথে ধীরে ধীরে খান। সারাদিন খাওয়ার পর পেটে খাবার গরম আছে কিনা তা
বের করতে সময় লাগে। আপনি যখন ফাস্টফুড খান, তখন আপনার মস্তিষ্ক আপনার পেট ভর্তি হওয়ার সংকেত দিতে পারে না। তাই খাবার ভালো
করে চিবিয়ে নিন।
ইফতারে একবারে বেশি খাবার না
খেয়ে ভাগ করে নিন। ইফতারের দুই ঘণ্টা পর রাতের খাবার খান। রাতের খাবার চর্বি, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন হতে হবে। এ সময় তার সাহরী খান।
সারাদিন শরীরের পানির চাহিদা মেটাতে ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। খাদ্য তালিকায় পানিযুক্ত খাবার
বা জলজ ফল রাখুন। শরীর থেকে টক্সিন বের করার জন্য পানি গুরুত্বপূর্ণ।ইফতার বা রাতের খাবারের পর তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়বেন না। হাট. খাবারের
পর হাঁটাও হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের জন্যও চমৎকার।আশা ছিল ধান ক্ষেত তুলে লাভ হবে। কয়েকদিন পর
ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে আনতে হয়। কিন্তু সেই আশা এখন হতাশায় পরিণত হয়েছে।উপজেলা কৃষি ব্যুরোর তথ্যমতে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ১৬
হাজার ১৯৪ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। এর মধ্যে নিচু এলাকায় ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরন ধান রোপণ করা হয়েছে।
কৃষকের বোনা স্বপ্ন ভেসে গেল বৃষ্টির জলে
সরেজমিনে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলেয়া, তিলাই, পাইকের ছড়া, আন্ধারীঝাড়, চরভুরুঙ্গামারী, পাইকডাঙ্গা ও ঝুকিয়া এলাকা
পরিদর্শন
করা হয়। টানা বর্ষণে শত শত হেক্টর ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া পটল, চিংড়ি, মরিচ, করলা, শসা, চিচিঙ্গা ও সবজির ক্ষেতে পানি
জমে
আছে। কোথাও কোথাও ধানের চারা ও সবজি পচে গেছে।কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বোরো ঘরে ঘরে ধান কাটার স্বপ্ন থাকলেও টানা
বৃষ্টিতে তার স্বপ্ন ভেস্তে যায়। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।