ব্যাটারিচালিত রিকশার নেপথ্যে কে রাজধানীর সড়ক ও গলিতে, চলাচলকারী ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইকের বিরুদ্ধে
অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। অভিযানের প্রথম দিনে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ১৫টি ব্যাটারিচালিত রিকশা
জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে পরিচালিত ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস ছামাদ সিকদার বলেন, হাইকোর্ট
এসব অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। তা সত্ত্বেও, একজনের মালিকানা এখনও গড় ব্যক্তির নাগালের বাইরে। এসবের বিরুদ্ধে আমরা মাঠে নেমেছি। অবৈধ যানবাহন।
আরও খবর পেতে ভিজিট করুউঃ heretipsz.xyz
ব্যাটারিচালিত রিকশার নেপথ্যে কে রাজধানীর সড়ক ও গলিতে
এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর নগর ভবনে ডিএসসিসির দ্বিতীয় কাউন্সিলের ১১তম বোর্ড সভায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা আগামী বছর থেকে অবৈধ রিকশা, অননুমোদিত রিকশা ও ব্যাটারির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করব। রিকশা চালিত। ”
এর পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস ছামাদ সিকদার ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, এসব কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব অবৈধ যান বন্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। ‘
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট অ্যাসিড ব্যাটারি চালিত ৪ মিলিয়ন ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এগুলো আমদানি ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। বিচারপতি মামনুন রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আতিক তৌহিদুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্তা
গত ১৩ ডিসেম্বর বাগ ইকো মোটরস লিমিটেডের সভাপতি কাজী জসিমুল ইসলামের পক্ষে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। রিট আবেদনে শিল্প সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব ও পরিবেশ সচিবসহ ৮ জনকে বিবাদী করা হয়।
এ বিষয়ে আইনজীবী আতিক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ইজিবাইকটি অবৈধভাবে ব্যাটারির সংযোগ দিয়ে চার্জ করা হয়। এসব ইজিবাইক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া রুট পারমিট ছাড়াই সড়কে চলছে ইজিবাইক। এই ইজিবাইকের বিদ্যুৎ খাত থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। এ কারণে আমরা সারাদেশে অবৈধ ইজিবাইক চলাচল বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছি। ‘
আইনজীবী আতিক তৌহিদুল ইসলাম আরও জানান, রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ হাইকোর্ট অবৈধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এগুলো আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। অবৈধ ইজিবাইক আমদানি বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সে মর্মে রুল জারি করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা
উপেক্ষা করে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন লেনে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলছিল। আর তাদের মধ্যে কেউ আজীবন পঙ্গুত্ব বরণ করছে, কেউবা প্রাণ হারাচ্ছে।
সচেতন যাত্রী, পুলিশ, ট্রাফিক বা হাইওয়ে পুলিশের অবহেলায় এসব যানবাহন লেন থেকে সড়ক-মহাসড়কে চলছে। তারা বলছেন, সড়ক-মহাসড়ক থ্রি-হুইলারমুক্ত রাখতে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। এদিকে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ বলছে, দায়িত্বে অবহেলা নেই। বেশিরভাগ সময় পুলিশের সহায়তায় চালকরা মহাসড়কে গাড়ি চালান।
রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস গণমাধ্যমকে বলেন, মানুষ মহামারীর সঙ্গে লড়াই করছে। ব্যাটারি চালিত রিকশা বাতিল করায় লাখ লাখ মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশার নেপথ্যে কে রাজধানীর সড়ক ও গলিতে
ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখে শ্রমজীবী মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে সরকার। সরকার বিদেশ থেকে নতুন ধরনের রিকশা আমদানির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে, তাই ব্যাটারি চালিত রিকশার কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন।
রাজধানীর মুগদা, মান্দা, বাসাবো, হাজারীবাগ, জিগাতলা, কামরাঙ্গীরচর, দক্ষিণখান, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, বাড্ডা, জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, শনির আখড়া, ডেমরা, বাসাবো, মাদারটেকসহ প্রায় ৫০টি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে। উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন এলাকার রিকশাচালক ও মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তারা জানান, দিন দিন এর সংখ্যা বাড়ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, করপোরেশনে প্যাডেল চালিত রিকশার সংখ্যা প্রায় ছয় লাখ। অনুমোদিত প্যাডেল চালিত রিকশার সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, এই করপোরেশনে প্যাডেল চালিত রিকশার সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। অনুমোদিত প্যাডেল চালিত রিকশার সংখ্যা ক