স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন

স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ যাত্রায় ১৭ এপ্রিল

একটি

স্মরণীয় দিন। এই দিনটি উপলক্ষে আমি দেশ-বিদেশে বসবাসরত সকল বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।ববার (১৮ এপ্রিল)

ঐতিহাসিক

মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।রাষ্ট্রপতি বলেন: “এই শুভ উপলক্ষে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের

সর্বশ্রেষ্ঠ

বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে।মনে পড়ে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন

আহমদ, ক্যাপ্টেন এম এ মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে।

আরও খবর পেতে ভিজিট করুউঃheretipsz.xyz

স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন

মুজিবনগর সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জন করি।রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ত্রিশ লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, বুদ্ধিজীবী শহীদ এবং সর্বস্তরের মানুষ এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও সমর্থনকারী বিদেশি বন্ধুদের।তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে শুরু হওয়া পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে মুক্তি সংগ্রামের পথচলা ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল। , স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার মেহেরপুরের তৎকালীন মহকুমা বৈদ্যনাথতলায় আম্রকানে আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করে।তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য 1970 সালের নির্বাচনে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক সরকারের আবির্ভাব হয়েছিল। এই সরকার গঠনের ফলে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি বিশ্ব সমর্থন ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

 

জনমত গঠনে, শরণার্থীদের পরিচালনায়

এবং যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণে মুজিবনগর সরকার যে ভূমিকা পালন করেছে তা বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অনন্য এক গৌরবের নিদর্শন হয়ে থাকবে।রাষ্ট্রপতি বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সব সময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন। বর্তমান সরকার তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে কাতারে যোগ দিয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে মডেল। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাসহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি ও জ্বালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু এ বছর যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রকল্পের কাজও চলছে বিরামহীনভাবে। আমরা ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।

স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন

মুজিবনগর দিবসে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার লক্ষ্যে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।রাষ্ট্রপতি

বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ বঙ্গবন্ধুর

স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *